একটি ডাকাতি মামলায় ১০ বছরের সাজা বাঁচতে ২৮ বছর ধরে পালিয়ে বেড়াছিলেন আসামী আব্দুস সামাদ (৭২)। তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি। অবশেষে তাকে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হতে হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর থানার পুলিশ গোপন সুত্রে খবর পেয়ে মহশেপুর সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। আব্দুস সামাদ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার তেতুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত বিশারত আলীর ছেলে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, কোটচাঁদপুর থানার একটি ডাকাতি (জিআর ৩৫/১৯৮৫) মামলায় তাকে ঝিনাইদহের একটি আদালত ১৯৯২ সালে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, নগদ ৫ হাজার টাকা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের দন্ড প্রদান করেন। দন্ড ঘোষণার আগ থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। পুলিশ আব্দুস সামাদকে গ্রেফতারে সোর্স নিয়োগ করে জানতে পারে তিনি প্রথম দিকে ভারতে ও পরে যশরে জমি কিনে ২৫ বছর ধরে বসবাস করছেন। ওসি আরো জানান, সোমবার দুপুরে মোবাইল ট্রাকিং করে আব্দুস সামাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাকে গ্রেফতারের জন্য সদরের নারিকেল বাড়িয়া ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই বদিউরজামানকে দায়িত্ব দেন। পুলিশ তাকে সোমবার বিকালে সীমান্ত এলঅকা থেকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ১৯৮৫ সালের ৯ জুন কোটচাঁদপুরের একটি ডাকাতি মামলার আসামী হন আব্দুস সামাদ। রেকর্ড হয়। এই মামলায় ঝিনাইদহের একটি আদালত ১৯৯২ সালে সাক্ষ্য প্রমান শেষে রায় ঘোষণা করেন।