দৈব নির্দেশ পান লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রথিধর দেউতি গ্রামের দুলাল চন্দ্রের স্ত্রী তুলসী রানী দাসী। আর এই দৈব নির্দেশ পেয়ে স্বামীর কাছে বায়না করেন হাতি ক্রয় করে দেয়ার।
দুলাল চন্দ্র রায় একই গ্রামের মৃত বরেন্দ্র নাথের ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক।
সোমবার সন্ধ্যায় রথিধর দেউতি গ্রামে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।
এলাকাবাসী জানান, দুলাল চন্দ্রের স্ত্রী তুলসী রানী দাসী প্রাণী সংরক্ষণ ও যত্নবান হতে দৈব নির্দেশ (স্বপ্নে আদিষ্ট) পান। ওই দৈব নির্দেশ পালনে কয়েক বছর আগে স্বামীর কাছে প্রথমে একটি ঘোড়া, রাজহাঁস ও ছাগল কিনে তাদের পরিচর্যা করেন তুলসী রানী।
এক মাস আগে হাতি কিনে যত্ন নেয়ার জন্য আবারও দৈব নির্দেশ পান। এ নির্দেশনা পেয়ে তিনি পুনরায় স্বামী দুলালের কাছে হাতি কিনে দেয়ার বায়না ধরেন।
কৃষক দুলাল পড়েন চিন্তায়, কিন্তু স্ত্রীকে খুশি রাখতে নিজের ১১ বিঘা জমির মধ্যে দুই বিঘা বিক্রি করে দেন।
ওই টাকা দিয়ে সিলেটের মৌলভীবাজার থেকে প্রায় ১৬ লাখ টাকা দিয়ে একটি হাতি কিনে স্ত্রীকে দেন। সঙ্গে এনেছেন হাতিকে দেখভালের জন্য ইব্রাহীম মিয়া নামে এক মাহুতকে। তাকে প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা বেতন দেয়া হবে।
ওই গ্রামের মোতাবর হোসেন জানান, স্ত্রীকে খুশি রাখতে স্বামী দুলাল চন্দ্র প্রতিনিয়ত সব কিছু কিনে দেন। অবশেষে জমি বিক্রি করে তিনি স্ত্রীর কথামতো হাতি কিনে এনেছেন।
ওই গ্রামের ববিতা জানান, স্ত্রীর বায়না পূরণ করে খুশি রাখতে স্বামী দুলাল চন্দ্র সব কিছু করেন। অবশেষে জমি বিক্রি করে স্ত্রীর কথামতো হাতি কিনে এনেছেন তিনি। সত্যি অবাক হওয়ার মতো ঘটনা।
তুলসী রানী জানান, প্রায় এক মাস আগে স্বপ্নে দেবতা মহাদেব ও বিশ্বকর্মা তাকে নির্দেশ দিয়েছেন একটি হাতি ক্রয় করে তার যত্ন নিতে। তাই স্বামীর কাছে একটি হাতি ক্রয় করে দেয়ার বায়না করেন তিনি। এর পর স্বামী তাকে একটি হাতি ক্রয় করে দিয়েছেন। দেবতা যতদিন বাড়িতে হাতি রাখতে বলবেন, ততদিনই হাতি বাড়িতে থাকবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে স্বামী দুলাল চন্দ্র রায় জানান, স্ত্রী স্বপ্নে দেখেছেন দেবতা হাতি ক্রয় করে যত্ন নিতে বলেছেন। তাই স্ত্রীর সেই স্বপ্ন পূরণে জমি বিক্রি করে সাড়ে ১৬ লাখ টাকায় হাতি ক্রয় করেছেন। মূলত স্ত্রীকে খুশি করতেই এই হাতি ক্রয় করেছেন তিনি।
কয়েক বছর আগে ওই দৈব নির্দেশ পালনে প্রথমে একটি ঘোড়া, রাজহাঁস ও ছাগল কিনে তাদের পরিচর্যা করেছেন তুলসী রানী দাসী।