‘ মাঘের শীত বাঘের গায়ে লাগে’ লোকমুখে শোনা যায়। মাঘের শুরুতে শীতের প্রকোপ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে সীমাহীন কষ্টে পড়তে হচ্ছে দরিদ্র অসহায় মানুষদের।গত কয়েকদিন ধরে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মত রাজধানীতেও তীব্র কুয়াশা আর শীত চেপে বসেছে। আর এতে ইট-পাথরের দালানে থাকা মানুষেরা তেমন কষ্টে না পড়লেও নিদারুণ কষ্টে পড়তে হচ্ছে, ফুটপাত, রেললাইনে থাকা মানুষজনকে।
রেললাইন কিংবা ফুটপাত দিয়ে যাওয়ার সময় বোঝাযায় কতটা কষ্টে আছে অসহায় মানুষেরা শীতের কাপড় ছাড়া। এত শীতের মধ্যেও বৃদ্ধ থেকে শুরু করে শিশুরা কারও গায়ে নেই উষ্ণ কাপড়। এসকল মানুষদের শীতের কষ্ট লাগবে তিতুমীরিয়ান গ্রুপের আয়োজনে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
আজ শনিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে সরকারি তিতুমীর কলেজ কেন্দ্রিক গ্রুপ ‘তিতুমীরিয়ান’ গ্রুপের এডমিন প্যানেলের সদস্যরা এ সকল শীতার্ত মানুষদের পাশে দাড়ায়।
স্বল্প সময়ের উদ্যোগে তিতুমীরিয়ান গ্রুপের এডমিন প্যানেলের সদস্যরা কাপড় সংগ্রহ করে মহাখালী রেললাইনের পাশে থাকা শিশু, বৃদ্ধ ও অন্যান্য অসহায় মানুষদের বিতরণ করেন।
তিতুমীরিয়ান গ্রুপের এডমিনের দায়িত্ব পালন করা সরকারি তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শামিম হোসেন শিশির বলেন, ‘অল্প সময়ের মধ্যে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আমরা একেবারেই ছোট পরিসরে পরিকল্পনা করেছিলাম। আমারা চেয়েছি অল্প সংখ্যা হলেও সেগুলো অসহায় কিছু মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে। কিন্তু রেললাইনের ধারে গিয়ে আমরা অবাক হয়ে যাই। সেখানে দেখেছি এতো শীতের মধ্যেও গায়ে দেওয়ার মতো জামা নেই অনেক বৃদ্ধের। শিশুরা পাতলা জামা গায়ে দিয়ে জড়োসড়ো হয়ে বসে আছে। একটু উষ্ণতা খুঁজতে ব্যাকুল অনেক নারী-পুরুষ’।
আমরা সেখানে পৌঁছুতেই একটা শীতের জামার প্রত্যাশায় আমাদের ঘিরে ধরেন শীতেকাতুর অনেক মানুষ।স্বাভাবিকভাবেই আমাদের অল্প সংখ্যক জামা কিছুক্ষণের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়, বেশিরভাগের প্রত্যাশাই পুরন করতে পারেনি আমরা। অনেকগুলো অসহায় মুখের দিতে তাকিয়ে তাকিয়ে ফিরতে হয়েছে আমাদের। আমরা আবারও সেখানে যেতে চাই। আরও বেশি শীতবন্ত্র, জামা জোগার করে নিয়ে গিয়ে অসহায় মুখগুলোতে হাসি ফোটাতে চাই ইনশাআল্লাহ।
তিতুমীরিয়ান গ্রুপের এডমিনের দ্বায়িত্ব পালন করা দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী মিহি আলম বলেন,তিতুমীরিয়ান গ্রুপের পক্ষ থেকে আজ শীত বস্ত্র বিতরণ করলাম। এই প্রথম দরিদ্র মানুষদের মাঝে বস্ত্র বিতরন করি। পরিশ্রম করেছি সবাই। কিন্ত এই পরিশ্রম গুলো স্বার্থক মনে হচ্ছিলো সাহায্য করা মানুষগুলোর হাস্যজ্জ্বল মুখ দেখে।
তবে সেখানে আরো কিছু হত দরিদ্র মানুষ আছে যাদেরকে আমরা আশ্বাস দিয়ে এসেছি যে আমরা বস্ত্র নিয়ে আবার ও যাবো। ইনশাল্লাহ খুব শ্রীঘই আমরা দ্বিতীয় বার যাবো।
তিতুমীরিয়ান গ্রুপের এডমিনের দায়িত্ব পালন করা ‘ক্লিন এন্ড গ্রীন ক্যাম্পাস-তিতুমীর’ এর সমন্বয়ক নয়ন সরকার বলেন, আলহামদুলিল্লাহ! আজকের অনূভুতি দারুণ।
শীতের পোশাক পেয়ে নারী-পুরুষ, শিশুরা অনেক আনন্দিত হয়েছে। পুরনো শীতের পোশাক বিতরণের আজকের প্রথম দিনে সকলের চাহিদা মেটাতে না পেরে খারাপ লাগছে। তবে সামনে আমরা বড় পরিসরে আয়োজন করছি। ইনশাআল্লাহ তখন সকলের চাহিদা মেটাতে পারবো বলে আশা করছি।