নতুন বছরের প্রথমদিন স্কুলের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পাঠ্যবই তুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। করোনা পরিস্থিতিতে এবার কয়েক মাস পিছিয়েছে বই ছাপানোর কাজ। তবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের নতুন বই পৌঁছে দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে এনসিটিবি। এদিকে, নানা সংকটে এতো অল্প সময়ে বই ছাপাতে গুণগত মান রক্ষা করা কঠিন হবে বলে আশংকা বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির।
প্রতিবছর সরকার বিনামূল্যে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক শ্রেণীর সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন পাঠ্যবই তুলে দিয়ে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দিতে কাজ চলছে।
অন্যান্য বছর প্রাথমিকের পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর অন্তত দুইমাস পর শুরু হয় মাধ্যমিকের বই ছাপানোর কাজ। অনলাইন টেন্ডার প্রক্রিয়ায় দরপত্র বাছাইয়ের পর অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে চুক্তির প্রক্রিয়া চলছে।
করোনার কারণে এসব প্রস্তুতি দেরিতে শূরু হয়। ফলে এখনও ছাপার কাজ শুরু হয়নি। এদিকে, কাগজের অস্থিতিশীল দাম ও সময় স্বল্পতায় বইয়ের গুণগত মান বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা মুদ্রণ ব্যবসায়ীদের।
তবে সময়মত বই ছাপা ও সরবরাহ করতে মূদ্রণ ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নিতে বলেছে এনসিটিবি।