নাম ইউসুফ,বয়স প্রায় ৬। জন্মগত প্রতিবন্ধী। সারাদিন দীঘর্ঃশ্বাস নিতে থাকে। পারে না কথা বলতে,এমনকি চলতে ফিরতে। ডাক্তাররা বলছে জন্মগত প্রতিবন্ধী। মায়ের মন,তাই বাধ মানতে নারাজ। ছেলের মুখে মা ডাক শুনতে ব্যকুল মরিয়ম। তাই মায়ের অস্থিরতাও ছিল বেশি।
অভাবী সংসার হলেও ছেলেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে ডাক্তার,কবিরাত কোনটারই কমতি ছিল না। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রিলোচানপুর ইউনিয়নে মাঠের মধ্যে অবস্থিত মাজারে সন্তানকে নিয়ে আমাবশ্য,পূর্নিমার রাতে অবস্থান করলে মিলবে মুক্তি,এমনটি পরামর্শ দিয়েছিলেন শুভাকাঙ্খীরা। মায়ের মন,তাই ছেলেকে আরোগ্য লাভের আশায় দেরি না করেই মেজ ছেলে মেশকাতকে সাথে করেই অবস্থান করেছিল মাজারে। কিন্তু ভ্যাগের নির্মম পরিহাস মাজারে অবস্থানকালে মা মরিয়ম বেগমের সাপের দংশনে মৃত্যু হয়।
বাবা সাহেব আলী,মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের সামান্য কর্মচারী। মোবারকগঞ্জ কলোনীতেই তাদের বসবাস। বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধী ইউনুছকে বাঁচাতে বাবা সাহেব আলী পুনরায় বিয়ে করেন। নতুন মায়ের কাছে আদর যতেœর কোন কমতি না থাকলেও শিশু ইউনুছের শারিরীক ও মানসিক কোন উন্নতি হয়নি। চাই উন্নত ছিকিৎসা।
ইউনুছের পরিবার বলেন, প্রতিবন্ধী শিশুকে বাঁচাতে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন।আপনারা এগিয়ে আসুন। সরকারী কিংবা হৃদয়বার ব্যক্তির সহায়তা আজও পায়নি।
ইউনুছের বাবা-মায়ের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না থাকায় সঠিক চিকিৎসাও করাতে পারছে না। তবে ভালোভাবে সঠিক চিকিৎসা প্রদান করা গেলে হয়ত ফিরে আসতো ইউনুছের স্বাভাবিক জীবন।
বাবা-মায়ের আকুতি কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি,সমাজ,রাষ্ট্র ইউনুছের চিকিৎসায় হাত বাড়িয়ে আর্থিক সহায়তা করতো তাহলে হয়ত ইউনুছকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আনা সম্ভব হত। বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধী ইউনুছ সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক এমনটি প্রত্যাশা সকলের।