ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০টি আবাসিক হলের মধ্যে ৯টিই ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক পুরোনো এসব ভবনের ছাদের আস্তর খসে পড়ে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। অনুপযোগী হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের বাধ্য হয়েই থাকতে হচ্ছে এসব জরাজীর্ণ ভবনে। তবে শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে এসব ভবন সংস্কার ও নতুন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে সরকার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যার প্রতিটি ইট, কাঠ, পাথর, বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস ঐতিহ্য আর গৌরবের গাঁথা। ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা এখন প্রায় ৪০ হাজার। শিক্ষক রয়েছে ২ হাজারেরও বেশি। প্রায় ১’শ বছর গৌরবের সাথে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকা এই বিদ্যাপিঠের বেশকিছু ভবন এখন জরাজীর্ণ।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়টির ২০টি আবাসিক হলের মধ্যে ৯টি ঝুঁকিপূর্ণ। যার মধ্যে রয়েছে, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, শামসুন নাহার হল, মাস্টারদা সূর্য সেন হল, সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, সলিমুল্লাহ হল, ফজলুল হক হল, শহীদুল্লাহ হল। এসব হলের বেশিরভাগ ভবন নির্মিত হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ বছর আগে। আর টিএসসি ও লাইব্রেরিসহ অন্যান্য সহ-শিক্ষামূলক স্থাপনাগুলো বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীর তুলনায় খুবই অপ্রতুল।
আগামী বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে। শতবর্ষে পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালকে অধুনিকায়ন করতে কাজ শুরু করেছে সরকার। যাকে সাধুবাদ জানিয়েছে শিক্ষার্থীরাও।
এদিকে, পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় যাদুঘর, বাংলা একাডেমি, পাবলিক লাইব্রেরি আধুনিকায়ন করতে একটি মাস্টার প্লান তৈরির কাজ শুরু করেছে গণর্পূত অধিদপ্তর। যার ডিজিটাল সার্ভেও শেষ হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছেন, টিএসসি, গ্রন্থাগার, কলাভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো সংস্কার করে আধুনিক করা হবে। নির্মাণ করা হবে নতুন ভবন। এসব প্রকল্প শেষ হলে বাঙালি সংস্কৃতির এক অপরূপ আবহ তৈরি হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনাগুলোতে।