বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঝিনাইদহে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। দিবসটি উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সদর থানা চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে কর্মসূচির শুভ সূচনা করা হয়।
সকালে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। এছাড়াও জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সালমা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে আরেকটি র্যালী বের করা হয়। র্যালীটিও শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রেরণা একাত্তর চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
সকাল ৭টায় স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। রাষ্ট্রের পক্ষে প্রথমে জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম, পরে পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান, জেলা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব, টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামসহ সরকারি দপ্তর, বেসরকারি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পরে জাতির পিতার ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এছাড়াও কুচকাওয়াজ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে মহান বিজয় দিবসে।
বিজয় দিবস হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্মারক। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশে বিজয় দিবস পালিত হয়।
বিজয় দিবস উপলক্ষে সারাদেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে স্মরণ করা হয়।