ঝিনাইদহের ৪ টি আসনের যাচাই বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে আ’লীগের এক বিদ্রোহীসহ ৭ জনের মনোনায়ন পত্র বাতিল হয়েছে। বাতিল হওয়া মনোনায়ন পত্রের মধ্যে রয়েছে ঝিনাইদহ-১-এ বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) মোঃ আবু বকর হলমনামা অসম্পুর্ণ থাকার কারনে, একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ শিহাবুজ্জামান এক শতাংশ ভোটার স্বাক্ষরে অসত্য তথ্য থাকার কারনে মনোনায়ন পত্র বাতিল। ঝিনাইদহ-২ এ বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোট এর শরীফ মোহাম্মদ বদরুল হায়দার এর ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) মোঃ নজরুল ইসলাম ঋণ খেলাপির দায়ে, ঝিনাইদহ -৩ আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মহেশপুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি টি,এম আজিবর রহমান (স্বতন্ত্র) এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ নাজিম উদ্দীন এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর ও হলমনামা সংক্রান্ত সমস্যা এবং ঝিনাইদহ-৪ এ মোঃ ইছাহক আলী বিশ্বাস (জাকের পার্টি) মনোনায়ন পত্র ঋণ খেলাপি দায়ে বাতিল হয়েছে। ঝিনাইদহ-১ আসনে মোট মনোনয়ন ফরম উত্তলন করা হয় ৮টি। মোট মনোনয়ন পত্র জমা হয়েছে ৮টি। যাচাই বাছাই শেষে বৈধ হয়েছে ৬টি। যাচাই বাছাই শেষে বাতিল হয়েছে দুইটি। বৈধ প্রার্থীরা হলেন, মোঃ আব্দুল হাই, (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ), নজরুল ইসলাম দুলাল, সহ সভাপতি ,ঝিনাইদহ জেলা আ’লীগ (স্বতন্ত্র), মনিকা আলম (জাতীয় পার্টি), কে, এ, জাহাঙ্গীর মাজমাদার তৃণমূল বিএনপি, মুনিয়া আফরিন (স্বতন্ত্র) ও মোঃ আনিছুর রহমান (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি)। বাতিল হয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) মোঃ আবু বকর এর হলমনামা অসম্পুর্ণ থাকার কারনে ও একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ শিহাবুজ্জামান এক শতাংশ ভোটার স্বাক্ষরে অসত্য তথ্য থাকার কারনে মনোনায়ন পত্র বাতিল। ঝিনাইদহ-২ আসনে মোট মনোনয়ন ফরম উত্তলন হয় ১২টি। মোট মনোনয়ন ফরম জমা হয়েছে ১২টি। যাচাই বাছাই শেষে বৈধ হয়েছে ১০টি। যাচাই বাছাই শেষে বাতিল হয়েছে দুইজনের। বৈধ প্রার্থীরা হলেন, তাহজীব আলম সিদ্দিকী (বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ), জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি মোঃ নাসের শাহরিয়ার জাহেদী (স্বতন্ত্র), জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু (স্বতন্ত্র), মোঃ ফজলুল কবির (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ), মোঃ নাসির উদ্দীন (স্বতন্ত্র), মোঃ মাহফুজুর রহমান (জাতীয় পার্টি) মোঃ জামরুল ইসলাম (তৃণমূল বিএনপি), মোঃ মিজানুর রহমান মিজু (এনপিপি) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোঃ হান্নান খাঁ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির খোন্দকার হাফিজুর রহমান ফারুক (বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)। বাতিল হয়েছে, ঝিনাইদহ-২ এ বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের শরীফ মোহাম্মদ বদরুল হায়দার। তার রিটার্নের প্রত্যায়িত অনুলিপি না থাকা ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) মোঃ নজরুল ইসলাম ঋণ খেলাপির হওয়ায় তার মনোনায়ন বাতিল করা হয়। ঝিনাইদহ-৩ আসনে মোট মনোনয়ন ফরম উত্তলন হয়েছে ৮টি। মোট মনোনয়ন ফরম জমা হয়েছে ৮টি, যাচাই বাছাই শেষে বৈধ ছয়টি। দুইটি যাচাই বাছাই শেষে বাতিল। বৈধরা হলেন, ঝিনাইদহ -৩ আসন খেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর প্রার্থী অবঃ মেজর জেনারেল মোঃ সালাহ উদ্দীন মিয়াজী, মনোনায়ন বঞ্চিত ঝিনাইদহ-৩ আসনের বর্তমান এমপি মোঃ শফিকুল আজম খাঁন (স্বতœন্ত্র) মনোনায়ন বঞ্চিত ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাবেক এমপি মোঃ নবী নেওয়াজ (স্বতন্ত্র), মনোনায়ন বঞ্চিত আ’লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোঃ আনিছুর রহমান (স্বতন্ত্র) মোঃ আব্দুর রহমান (জাতীয় পার্টি) ও বাবুল হোসেন (জাকের পার্টি)সহ ৬ জন। বাতিল হয়েছে, আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মহেশপুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি টি,এম আজিবর রহমান (স্বতন্ত্র) এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ নাজিম উদ্দীন এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর ও হলমনামা স্বাক্ষর না থাকায় বাতিল। এদিকে ঝিনাইদহ-৪ আসনে মোট মনোনয়ন ফরম উত্তলন হয়েছে ৬টি। মোট মনোনয়ন পত্র জমা হয়েছে ৬টি। যাচাই বাছাই শেষে বৈধ হয়েছে ৫টি। যাচাই বাছাই শেষে বাতিল হয়েছে একটি। বৈধ প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান এমপি মোঃ আনোয়ারুল আজিম (আনার),বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, মনোনাযন বঞ্চিত বঙ্গবন্ধু পরিষদের আব্দুর রশিদ খোকন (স্বতন্ত্র), এমদাদুল ইসলাম (বাচ্চু), (জাতীয় পার্টি), মোঃ নজরুল ইসলাম স্বতন্ত্র), সাবেক এমপি নূর উদ্দীন আহমেদ (তৃণমুল বিএনপি) এর মনোনায়ন পত্র বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে। বাতিল হয়েছে মোঃ ইছাহক আলী বিশ্বাস (জাকের পার্টি)। তার মনোনায়ন পত্র ঋণ খেলাপি দায়ে বাতিল করা হয়।