ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে আগামীকাল ১লা অক্টোবর জেলার কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে এক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালার আয়োজন করেছেন। মূল ধারার সাংবাদিকদের পাশ কাটিয়ে সম্পর্কিত ব্যক্তিদের নিয়ে ওই কর্মশালার উদ্দ্যোগ নিয়েছেন।
এতে করে অত্র জেলায় কর্মরত জাতীয় সংবাদ পত্র ও টেলিভিশন এবং স্থানীয় ভাবে প্রকাশিত সংবাদ পত্রের সম্পাদকসহ সংবাদ কর্মিদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আগেই বিষয়টি সরাসরি ও টেলিফোনে অবহিত করা হয়েছে তাকে। এরপরেও উদ্দেশ্যমুলক ভাবে নিজ ইচ্ছেমত ঘটনাটি ঘটিয়েছেন তিনি। আজ বুধবার সকাল ১১ টায় ঝিনাইদহ জেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত নির্বাহী পরিষদের এক জরুরী সভায় এধরনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। সিভিল সার্জনের সকল কর্মকান্ডের তদন্ত দাবি করা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি দৈনিক যুৃগান্তর ও এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার মিজানুর রহমান। সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক বিএসএস ও চ্যানেল আইয়ের প্রতিনিধি এ্যাড শেখ সেলিম। এ সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রেসক্লাবের নির্বাহী পরিষদের সকল সদস্য বৃন্দ।
প্রসঙ্গত ঃ সিভিল সার্জন হিসেবে যোগদানের পর থেকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের চেইঅব কমান্ড ভেঙ্গে পড়ে। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে করোনা দুর্যোগের মধ্যেও কয়েক দফায় বিনা ছুটিতে যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলা শহরে নিজ বাড়িতে জীপে চড়ে যাতায়াত এবং অবস্থান করেছেন। এর জন্য লিটার লিটার সরকারি তেল খরচ হয়েছে । সংশ্লিষ্ট জীপের চালক সুত্রে জানায় ঝিনাইদহ থেকে চৌগাছা শহরের দুরত্ব প্রায় ৪৫ কিলোমিটার। এর জন্য প্রয়োজন পড়ে অন্তত ১৫ লিটার ডিজেল তেল। এছাড়াও ২০১৯-২০ অর্থ বছরে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়) বিশেষ অনুদানের লাখ লাখ টাকা স্বনামে বেনামে একাধিক বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানকে (এনজিও) প্রদান করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় বরাদ্দ প্রাপ্ত সিংহ ভাগ স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের কাছে পিপিই মাক্সসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী চেয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। অজ্ঞাত কারনে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তার বিরুদ্ধে। তার দাবি ছিল আমি কারো কাছে নগদ টাকা বা ঘুষ দাবি করিনি।