কুচক্রিদের অপপ্রচারে খেলাধুলা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে আশঙ্কা নেতৃবৃন্দের
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ ক্রীড়া ফেডারেশন স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মত মতবিনিময় করেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে শহরের ভূষণ স্কুল মাঠ সংলগ্ন ফেডারেশনের নিজস্ব কার্ষালয়ে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময়ের শুরুতে ফেডারেশনের সহ-সভাপতি অজিৎ ভট্টাচার্য্য লিখিত বক্তব্যে বলেন, একটি মহল সম্প্রতি ফেসবুক. গনমাধ্যম ও সভা সমাবেশে ক্রীড়া ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে জড়িয়ে কিছু ভুল তথ্য পরিবেশন করছে। তারা ভূষণ স্কুলের জমিতে স্থাপিত দোকান ঘরের টাকা ফেডারেশন সভাপতির একাউন্টে যাচ্ছে বলে গুজব ছড়াচ্ছে। ২০১৫ সালের ১২ অক্টোবর নলডাঙ্গা ভূষণ স্কুল থেকে দোকানঘরগুলি কালীগঞ্জ ক্রীড়া ফেডারেশনের নামে ৯৯ বছরের বন্দবস্ত নেওয়া হয়। সে মোতাবেক ওই দোকান ঘরের ভাড়া বাবদ প্রতিমাসে ৬৪০০ টাকা স্কুলের ফান্ডে জমা দেওয়া হয়। বাকি টাকা দিয়ে ক্রীড়া ফেডারেশনের মাধ্যমে ফুটবল, ক্রিকেট ও ভলিবলসহ খেলোয়ার ও মাঠ উন্নয়নে ব্যয় করা হয়। তবে, ফেডারেশের রুলস এন্ড রেজুলেশনের অনুযায়ি সকল জমা খরচ ও লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে বলে উল্লেখ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, গত ০৭/১২/২২ তারিখে ক্রীড়া ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান লাড্ডুর অকাল মৃত্যুর পর থেকেই জটিলতা তৈরি হয়। ফলে ব্যাংকের একাউন্টে লেনদেন বন্ধ হয়ে পড়ে। এ কারনে সমস্যা সমাধানে ফেডারেশনের সভার সিদ্ধান্তে নতুন ব্যাংক একাউন্ট না খোলা পর্যন্ত ফেডারেশনের সভাপতি এমপি আনারের একাউন্টে জমা রাখার সিন্ধান্ত হয়। কিন্তু কুচক্রি মহলের ভূল তথ্যের ভিত্তিতে মুল বিষয়টি আড়াল করে মিথ্যা অপবাদ প্রচার করা শুরু করে।। যা ঐতিহ্যবাহি কালীগঞ্জ ফেডারেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে।
অজিত ভট্টাচার্ষ্য আরো জানান, চুক্তি মোতাবেক ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত সমুদয় টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এসময় তিনি আরো জানান, অত্র ফেডারেশনের সভাপতি এমপি আনার কালীগঞ্জ ছাড়াও ঝিনাইদহ ও যশোর অঞ্চলের মধ্যে একজন বিশিষ্ট ক্রিড়া ব্যক্তিত্ব হিসাবে পরিচিত। ক্রিড়াঙ্গনে তার অবদান অপরিসীম। এমপি আনার তার ব্যক্তিগত প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয় করে কালীগঞ্জ ক্রীড়া ফেডারেশন অত্র ভবনটি নির্মাণ করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময়ে খেলাধুলার জন্য ব্যক্তিগত অর্থে ক্রীড়া সামগ্রী প্রদান ছাড়াও নগদ অর্থ দিয়ে সহায়তা করে থাকেন। বর্তমানে ক্রিড়া ফেডারেশনের পরিচালনায় অত্র মাঠে শত শত তরুণ খেলোয়ারেরা ফুটবল, ক্রিকেট ও ভলিবল খেলার প্রশিক্ষন নিচ্ছে। তাদের মধ্যে অনেকেই জাতীয় দলসহ ঢাকার প্রথম শ্রেণীর নামি দামি দলে স্থান পেয়েছে। মতবিনিময়ে উপস্থিত ফেডারেশনের কর্মকর্তারা বলেন, আমরা মনে করছি কিছু অসৎ ও কুচক্রী মহলের ইন্ধনে ফেডারেশনের সভাপতি এমপি আনারকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নিরুৎসাহিত করছে। এতে কালীগঞ্জের খেলাধুলা অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলেও মন্তব্য করেন।
এসময় উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, ক্রীড়া ফেডারেশনের মাধ্যমে খেলাধুলা পরিচালনা করতে প্র্রতি বছর প্রায় ৫/৬ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়ে থাকে। যা কোন সরকারি অনুদান থেকে আসে না। একমাত্র আয়ের উৎস ক্রিড়া ফেডারেশনের ভাড়া দেওয়া দোকান ঘরগুলি। তাই অপপ্রচারে সংগঠনটি বিতর্কিত হইলে তার প্রভাব ক্রীড়াঙ্গনের মাঠেই পড়বে বলে মনে করেন তারা। ক্রীড়া ফেডারেশনটি একটি অরাজনৈতিক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। এটি কালীগঞ্জ বাসির সম্পদ। মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, ফেডারেশনের কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, শিবুপদ বিশ^াস, জামির হোসেন, মুক্তার হোসেন, নুরুল ইসলাম, ওবাইদুল হক মেহেদি, কামরুজ্জামান রাজু, আশরাফুজ্জামান রাবুল ও আমামুল হক খোকা সহ মাঠের খেলোয়াড়রা।