ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ বারোবাজারে বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে ১২ জন নিহতের ঘটনায় সেই আলোচিত ঘাতক ট্রাক ডাইভার রনি গাজী (৩০) কে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বারবাজার হাইওয়ে থানার অফিসার্স ইনচার্জ মেজবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় যশোর বেনাপোল সীমান্তের পুটখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটক রনি যশোরের শার্শা উপজেলার সনাতনকাঠি গ্রামের মশিয়ার গাজীর ছেলে। অপরদিকে সেই যাত্রীবাহি জেকে পরিবহনের চালক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন না বেঁচে আছেন সেটা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
ট্রাক চালক রনিকে আটকের পর শনিবার বেলা ১২ টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কালীগঞ্জ বারোবাজার হাইওয়ে থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন জানান, ভারতে পালিয়ে যাচ্ছে এমন সংবাদ পেয়েই শুক্রবার গভীর রাতে যশোরের শার্শার পুটখালী সীমান্তে এক অভিযান চালায়। সেখান থেকেই ট্রাক চালক রনি গাজীকে তারা আটক করে। উল্লেখ্য, দূর্গটনার পরদিন ১১ ফেব্রঃ রাতে বাস ও ট্রাকের চালককে আসামি করে বারোবাজার হাইওয়ে থানা পুলিশ স্থানীয় কালীগঞ্জ একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ ওইদিনই ঘাতক ট্রাকটিকে জব্দ করে বারোবাজার হাইওয়ে থানাতে নিয়ে আসে। ট্রাকের নং যশোর-ট-১১-১২৯২।
ওই মামলার তদন্তকারী বারবাজার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মেজবাহ উদ্দিন আরো জানান, ট্রাক ড্রাইভার রনি জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে, সে দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে বালুভর্তি ট্রাকটি বাসের মাঝখানে ধাক্কা দিয়েছিল। এরপর সে তার ট্রাকটি বিপরিতমুখী ঘুরিয়ে কালীগঞ্জ মুন্দিয়া সংলগ্ন একটি কাচা সড়কে ট্রাকটি রেখে পালিয়ে যায়। এবং দূর্ঘটনার সময়ে ট্রাকের জানালার গ্লাস ভেঙ্গে তার বাম হাতের কনুইয়ের নিচে সামান্য কেটে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে সে তার বৈধ কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স ও কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ বারোবাজার আলহাজ¦ আমজাদ আলী ফিলিং স্টেশনের সন্নিকটে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৬ জন মাস্টার্সের পারীক্ষার্থী ছিল।