ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকায় মধ্যরাতে প্রতিবেশীকে ফোন কল করে ডেকে এনে ছুরিকাঘাত করে হ’ত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার মধ্য রাতে ( ৯ জুলাই) পৌর এলাকার ফয়লা মাস্টার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নি*হত মেহেদী হাসান (২৪) কালীগঞ্জের ফয়লা মাস্টারপাড়া এলাকার সফর আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় রাতেই হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে আকরাম হোসেনকে আটক করেছে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ । হ’ত্যাকন্ডের ঘটনায় আটক আকরাম হোসেন হলেন একই এলাকার তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে।
এঘটনার ব্যপারে,নিহত মেহেদীর মা সাবিয়া বেগম জানান, তার ছেলের ভিসা-পাসপোর্ট সহ বিমানের টিকিট হয়েগেছে । আর তিন দিন পরে ছেলে মালয়েশিয়া চলে যাবে। কিন্তু তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আকরাম ও সাদ্দাম তার ছেলেকে হ’ত্যা করেছে। তিনি তার ছেলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
নিহত মেহেদীর স্ত্রী আকলিমা বেগম জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার স্বামীর খাওয়া শেষের দিকে একটি ফোন আসে। এরপর তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পরই তিনি জানতে পারেন প্রতিবেশী আকরামের বাড়িতে পড়ে আছে তার স্বামীর রক্তমাখা শরীর। এরপর সেখান থেকে তারা এলাকাবাসীর সাহায্যে মেহেদীকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শিশির কুমার সানা তাকে মৃ’ত ঘোষণা করেন, তবে তিনি জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
আকলিমা বেগম জানান আরও জানান, তাদের একটি ৫ মাস বয়সী কন্যা সন্তান রয়েছে। এছাড়া নিহত মেহেদীর আগামী ১৩ জুলাই মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিল। তিনি তার স্বামী হত্যার বিচার সহ আসামীদের ফাঁসীর দাবি জানিয়েছেন।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান জানান, পৌর এলাকায় রাত সাড়ে বারোটার সময় মেহেদী হাসান নামে এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে । এ ঘনার মূল হোতা আকরামকে রতেই আটক করা হয়র। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কি কারণে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি, তদন্তের পর আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে। এই ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। নিহত মেহেদী ও আকরামের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল বলেও জানান তিনি।