ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম বলেছেন, বাল্য বিয়ে একটি সামাজিক সমস্যা। এটি মেয়েদের অধিকারের লঙ্ঘন। মেয়েদেরকে লেখাপড়া শিখিয়ে সমাজে যোগ্য করে তুলতে হবে। তাহলে তারা বাল্য বিয়ে থেকে মুক্তি পাবে।
তিনি মঙ্গলবার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে জনপ্রতিনিধি, সরকারী কর্মকর্তা, শিক্ষক, গনমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয় সুধীজনদের সাথে মতবিনিময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মেয়েদেরকে লেখাপড়া শিখিয়ে সমাজে যোগ্য করে তুলতে হবে। তাহলে তারা বাল্য বিয়ে থেকে মুক্তি পাবে। লেখাপড়া জানা মেয়েরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারে। তারা পরিবারের ভাগ্য উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, পরিবারের দুঃসময়ে মেয়েরাই পিতা মাতা পরিজনদের বেশি খোজখবর নিয়ে পাশে থাকে। তারা পরিবারের ভাগ্য উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তিনি সমাজে যৌতুক, আত্মহত্যা, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ রোধেও সবাইকে সচেতন হতে বলেন। তিনি বলেন, এসব সমস্যা সমাজের জন্য ক্ষতিকর। সবাইকে এসব সমস্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
তিনি আগামী ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রশাসনের আন্তরিকতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এ নির্বাচনে কেউ বাধা সৃষ্টি বা অপপ্রচার করলে রেহায় পাবে না।
তিনি কালীগঞ্জের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনেন এবং তা সমাধানের আশ্বাস দেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ’মি) হাবিবুল্লাহ হাবিবের সঞ্চালনায় মতবিনিময়ে অন্নান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (তদন্ত) মানিক চন্দ্র গাইন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হেলাল উদ্দিন, কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি জামির হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল আজাদ, ওহিদুল ইসলাম অদু।