কালীগঞ্জে পানি সাশ্রয়ী কার্ষকারী কৃষি প্রকল্পের উপর গনমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে এক কর্মশালা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত হয়েছে। সেচ্ছাসেবী সংগঠন সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সোমবার বিকালে সংগঠনের সন্মেলন কক্ষে অনুষ্টিত কর্মশালাতে উপজেলার দুই ইউনিয়নের কৃষক প্রতিনিধি সহ স্থানীয় গনমাধ্যমের কর্মীগন অংশ নেন।
জাপান ভিত্তিক শেয়ার দ্যা প্লানেট এ্যসোসিয়েশনের সহযোগিতায় সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শিবুপদ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে কর্মশালাতে প্রকল্পের মুল বিষয়বস্তু তুলে ধরা হয়। শুরুতেই প্রকল্পের মুল সমন্বয়কারী তোফায়েল আহম্মেদ জানান, জাপান ফান্ড ফর গ্লোবাল এর অর্থায়নে তারা দীর্ঘদিন ধরে পানী সাশ্রয়ী চাষাবাদে কৃষকের উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করছেন। ইতিমধ্যে উপজেলার দুইটি ইউনিয়নে ২০ টি গ্রামের ৩০০ জন কৃষককে প্রশিক্ষন দেওয়া সহ জমির মাটি পরিক্ষা করানো হয়েছে। এবং কৃষকদের মাঠের ওই জমিতে পানী সাশ্রয়ী চাষের জন্য বিনা খরচে ১২৫ টি মিনি পুকুর কেটে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তারা কৃষকদের ভার্মি কম্পোষ্ট সার তৈরি সহ নানা কাজে সহযোগীতা করে আসছেন।
কর্মশালাতে উপস্থিত ভ’ক্তভোগী কৃষকদের মধ্যে আব্দুল মজিদ মন্ডল জানান, উক্ত প্রকল্পের মাধ্যমে তার ৪৬ শতক চাষের জমির মধ্যে ১ শতক জমিতে মিনি পুকুর খনন করেছিলেন। এতে তার সেচ বাবদ সম্পুরক মৌসুমে ১৮৯০ টাকা, বীজতলায় ৭০০ টাকা, বোরো মৌসুমে ১৪৫০ টাকা সাশ্রয় হয়েছে। সেই সাথে ওই পুকুরে মাছ চাষ করে ৫৯১০ টাকা ও পুকুর পাড়ে সবজি চাষ থেকে ১৮৬০ টাকা আয় হয়েছে। সব মিলিয়ে তিনি পানী সাশ্রয়ী ওই প্রকল্পের মাধ্যমে মিনি পুকুর করে ১১৮১০ টাকা লাভ করেছেন। আলাইপুর গ্রামের আফজাল হোসেন জানান, তাদের মাঠের ক্ষেতে পানি সাশ্রয়ী এ প্রযুক্তি গ্রহন করে তারা বেশ লাভবান হয়েছেন। প্রতি বিঘা জমিতে তারা প্রায় ৬ হাজার টাকা সাশ্রয় করতে পেরেছেন।
এ প্রকল্পের ফিল্ড অর্গানাইজার শাহাজান আলী সাজু ও রনি বিশ্বাস জানান, তারা উপজেলার সুন্দরপর দুর্গাপুর ও নিয়ামতপুর ইউনিয়নের ২০ টি গ্রামের ৩ শত কৃষককে এ পানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহারে অন্তভুক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। তবে, আগামী মাসে এ প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও কৃষকদের সেবা প্রদান অব্যাহত রাখবেন বলে জানান।
কর্মশালাতে কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি জামির হোসেন, সম্পাদক সাবজাল হোসেন ও সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা আব্দুল জলিল সহ বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় সাংবাদিকগন অংশগ্রহন করেন।