কালীগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় কুকুরের কামড়ে পুলিশ,সাংবাদিক শিশু-বৃদ্ধসহ অন্তত ৩০ জনের অধিক আহত হয়েছেন। আহতরা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কপপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। মাথায়,মুখে,হাত পায়ে কুকুরের কামড়ের যন্ত্রনায় ছটফন করছে ভুক্তভোগীরা। অনেকের কাপড় চোপড় ছিড়ে দিয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কালীগঞ্জ পৌরবাসির মধ্যে কুকুর আতঙ্ক বিরাজ করছে। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে ঘন্টাব্যাপী এক পাগলা কুকুরের আক্রমনে ৩০ জনের অধিক ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে দেখা গেছে।
আহতরা জানান,হঠাৎ পেছন থেকে কুকুর এসে মুখে, হাতে, পায়ে কামড়ে দিচ্ছে। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ লোকেরা কামড়ের পর নিজেকে সামলে নিতে চেষ্টা করলেও বয়স্করা ঘাবড়ে যান। হাসপাতালের রেজিস্টার অনুযায়ী আক্রান্তরা অধিকাংশই পৌর এলাকার বাসিন্দা।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগে কুকুরে কামড়ানোর ভ্যাকসিন র্যাবিক্স আইজি সরবরাহ না থাকায় বেশ বেগ পেতে হচ্ছে আক্রান্তদের। স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী ওষুধের দোকান থেকে ঔষধ সংগ্রহ করতে বাধ্য হচ্ছেন।এ সময় পৌর মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফকে টিকা সংগ্রহ করে সরবরাহ করতে দেখা গেছে।
এছাড়া দৈনিক যুগান্তরের কালীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি শাহারিয়ার আলম সোহাগ সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কুকুর তাকে আক্রমণ করে মারাত্মক আহত করে। বর্তমানে তিনি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কম্পপ্লেক্সএ কর্তব্যরত চিকিৎসক আফরিন জাহান বৃষ্টি বলেন, হাসপাতালে র্যাবিক্স-ভিসি ভ্যাকসিন সংকট থাকায় আহতদের বাইরের দোকান থেকে সংগ্রহ করতে হচ্ছে। বিষয়টি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানাব।
কালীগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র ও কালীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিবলী নোমানীকে আহতদের সেবা শ্রুষা করতে দেখা গেছে। পৌর মেয়র জানান, ভয় না পেয়ে পাগলা কুকুকে প্রতিহত করতে হবে। সবাইকে সাবধানে চলাচলের আহবান জানান।
এ জাতীয় আরো খবর ....