আর্ত-মানবতার সেবায় অন্যতম ভূমিকা রাখছেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের সাংসদ কন্যা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক মুমতারিন ফেরদৌস (ডরিন)।
সে ঝিনাইদহ -৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার এমপির কনিষ্ঠ কন্যা । “মানুষ মানুষের জন্য” এই মূল মন্ত্রটিকে বুকে ধারণ করে মানবতার সেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন এবং সমাজের অসহায় দরিদ্র মানুষের আর্থিক সহযোগীতা ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে আসছেন তিনি। করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের এই ক্রান্তিলগ্নে সমাজ, দেশ এবং দেশের হত দরিদ্র মানুষের কল্যাণে তার এই অগ্রনী ভূমিকা এগিয়ে যাক এটাই সৃষ্টিশীল মানুষের এবং কালীগঞ্জের সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা। মানবতার সেবায় নিজ স্বকীয়তায় মানুষের মনের মনিকোঠা জুড়ে বিরাজ করছে ডরিনের নামটি। তার নিজস্ব অর্থায়নে এই ত্রাণ ও উপহার সামগ্রী বিতরণের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন। কালীগঞ্জ পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, আর্ত-মানবতার সেবায় ঐ এলাকায় সব সময়ই অনুকরণীয় আদর্শের নাম মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। করোনার প্রার্দুভাবে কালীগঞ্জ গৃহবন্ধি গরীব অসহায় মানুষের মাঝে তার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের ভূমিকা অবিস্মরণীয়। ডরিন মানুষের জন্য কিছু করার দৃঢ় মনোবলের প্রমাণ মেলে করোনায় গৃহবন্ধি মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের মধ্য দিয়ে। হাজার হাজার পরিবারের মাঝে তিনি ত্রাণ সামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরণ করেন। যাদের প্রত্যেককে চাল, ডাল, তেল, চিনি, লবন, লাচ্ছা সেমাই প্রদান করেন। কর্মহীন হতদরিদ্রদের মধ্যে বিনামূল্যে সবজি বিতারন।
বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণের জন্য ছাত্রলীগের একটি টিম রয়েছে। যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে কালীগঞ্জ পৌরসভা সহ তাঁর পাশ্ববর্তী এলাকার দরিদ্র, অসহায়, ছিন্নমূল মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেন।
এমনকি সাংসদ কন্যা ডরিন এর নেতৃত্বে রোজা রেখেও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এক কৃষকের ধান কেটে দিয়েছে ছাত্রলীগ। তারা হলো- উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান নজিম, সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাবেদ হোসেন জুয়েল, রিয়াজ মোল্যা সহ উপজেলা, পৌর, কলেজ সহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
সাংসদ কন্যা ডরিন বলেন, নিজের বাবার প্রচার- প্রচারনা করার জন্য নয় এবং নিজেকে এই দেশের নামি-দামি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়িক হিসেবে নিজেকে উন্মোচন করার জন্য নয়। আমি চেষ্টা করছি এলাকার সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে। পাশাপাশি মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে। যাতে করে সকলের মধ্যে থাকা আত্ম-বিবেক জাগ্রত হয়ে আমরা সবাই সবার হতে পারি এবং সবাই সবার জন্য কাজ করতে পারি। সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা বিবেচনায় রেখেই আমি আর্ত-মানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছি এবং যাব। আর্ত-মানবতার সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার মধ্যেই রয়েছে জীবনের সার্থকতা। জীবনের উদ্দেশ্য শুধু নিজের সফলতা, নিজেকে সুখী করা নয় বরং প্রত্যেক মানুষের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হওয়া উচিত অন্যের সফলতার কাজে, দেশ ও সমাজের উন্নয়নমূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত করে নিজের সফলতাকে অনুধাবন করা। তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে দান করে এবং মানবসেবা করে কেউ কখনো গরীব হয়নি বরং গরীব মানসিকতার মানুষগুলোই কখনো সমাজ, দেশ ও দেশের সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করতে পারেনি। পৃথিবীতে সেই মানুষগলোই বেশি সফলতা পেয়েছে যারা আর্ত-মানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে সক্ষম হয়েছে। তাই আমাদের সকলের উচিত মানুষকে ভালোবাসা, আর্ত-মানবতার সেবায় উজ্জিবিত হয়ে মানবতার কল্যাণে দেশ ও সমাজের জন্য কাজ করা।
তাহলেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এবং তার সুযোগ্য কন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।