রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুমূর্ষু স্বামীর রক্ত সংগ্রহ করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক স্ত্রী। লোকলজ্জার ভয়ে ওই অসহায় নারী কাউকে কিছু না বললেও পরবর্তী সময়ে আবারও তাকে ধর্ষণের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে ওই চক্র। কোনো উপায় না পেয়ে ভুক্তভোগী দম্পতি শেষে র্যাবের দ্বারস্থ হন। পরে র্যাব-২-এর একটি দল গতকাল ভোরে রাজধানীর মিরপুরের মণিপুর এলাকার শিফা ভিলা থেকে ধর্ষক মনোয়ার হোসেন ওরফে সজীব (৪৩) ও তার সহযোগী মাশনু আরা শিল্পীকে (৪০) গ্রেফতার করে।
র্যাব সূত্র জানায়, ১৫ সেপ্টেম্বর অসুস্থ স্বামীকে ঢাকার সোহরওয়ার্দী হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করান। ১৬ সেপ্টেম্বর ওই বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার স্বামীর জন্য জরুরি ভিত্তিতে রক্তের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন। ওই সময়ই হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় ব্লাডব্যাংকের সামনে তিনি-চারজন পুরুষ লোককে বসা দেখতে পেয়ে রক্তের (ও পজিটিভ) বিষয়ে জানতে চান। পরে ধর্ষক সজীব ওই মহিলাকে রক্ত সংগ্রহ করে দেওয়ার কথা বলে মণিপুরে শিল্পীর বাসায় নিয়ে তার সহায়তায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী লোকলজ্জার ভয়ে ও স্বামীর অসুস্থতার কারণে ধর্ষণের বিষয়টি গোপন রাখেন। পরদিন ধর্ষক সজীব ভিকটিমের স্বামীর মোবাইলে ফোন করে রক্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে জানিয়ে তার স্ত্রীকে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। তখন ভিকটিম পুনরায় ধর্ষিত হওয়ার ভয়ে তার স্বামীকে ধর্ষণের বিষয়টি খুলে বলেন। র্যাব-২-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার বলেন, ‘গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই সজীব ও শিল্পী সবকিছু স্বীকার করেছেন। সজীব হাসপাতাল চত্বরে নিজেকে কখনো মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ, কখনো মেডিকেল সহকারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে অনেক মানুষের সঙ্গে ভয়ংকর প্রতারণা করে আসছিলেন। আইনি সহায়তার জন্য আমরা দুটি মানবাধিকার সংস্থার সঙ্গে ভিকটিমকে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছি।’ এ ঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।