ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার শোয়াইবনগর কামিল মাদরাসায় সম্প্রতি এক অশ্লীল কর্মকাণ্ডের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। জানা যায়, সিংগী গ্রামের সুবীর কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কোর্সের প্রশিক্ষক তিনি গত ২৪ জানুয়ারি রাতে প্রশিক্ষাণার্থি শিক্ষার্থীদের সাথে অশ্লীল আচরণে লিপ্ত ছিলেন, যা পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা আজ সকাল থেকে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে। তাঁরা একত্রিত হয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে এবং মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সাত দফা দাবী নিয়ে অনিয়মের প্রতিবাদ আন্দোলনে নামে। শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল, অভিযুক্ত প্রশিক্ষক সুবিরের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং এমন অশ্লীল কর্মকাণ্ড মাদরাসায় যাতে আর কখনো না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে হবে। অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবী জানান আন্দোলনের মুখে অধ্যক্ষ নুরুল হুদা পদত্যগ করতে বাধ্য হন।
তবে, মূল অভিযুক্ত প্রশিক্ষক সুবির এখনও পলাতক রয়েছেন এবং তাঁর অবস্থান সম্পর্কে এখনও কোনও সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁর গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা দাবি করেন যে, মাদরাসা কর্তৃপক্ষ তাঁদের অভিযোগ সঠিকভাবে আমলে নেননি, যার ফলে এই ধরনের ঘটনা ঘটে। তারা তাদের অধিকার রক্ষা এবং ন্যায়বিচারের দাবিতে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
এদিকে, স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের জন্য কাজ করছে। তবে, শিক্ষার্থীদের মাঝে এখনও ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং তারা দৃঢ়তার সাথে নিজেদের দাবি আদায়ে অটল রয়েছে।
এ ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে এবং এই ঘটনায় মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নানা প্রশ্ন উঠছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম জানান অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।